বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ১২:১০ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
দুঃখে বুক ফেটে যাচ্ছে, যার যায় সেই বোঝে’ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত কয়রায় পথচারি ও ভ্যান চালকদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও স্যালাইন বিতরন চরফ্যাশনে মেঘনা নদীর তীরে মাটি কাটায় অর্থদণ্ড সোনাগাজীতে সিএনজি অটোরিকশা উল্টে চালক নিহত বাগআঁচড়া নাভারণ ও বেনাপোল সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নে মহান মে দিবস পালিত নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগ প্রতিকার ও নিষ্পত্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন শ্রীমঙ্গলে এক কিশোরকে কুপিয়ে জখম শিবগঞ্জের শাহাবাজ পুর ইউনিয়নে কমিউনিটি পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যস্ততার পরিবর্তে অস্তিত্ব টেকানোর লড়াইয়ে মৃৎশিল্পীদের তৈরি বিভিন্ন পণ্য
কুড়িগ্রামে কমছে বন্যার পানি, রেখে গেছে ক্ষত চিহ্ন

কুড়িগ্রামে কমছে বন্যার পানি, রেখে গেছে ক্ষত চিহ্ন

নিউজ ডেস্ক :
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমতে থাকায় গত তিন দিন ধরে বিপদসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো উন্নতি হয়েছে। তবে নিম্নাঞ্চলের বানভাসীদের দুর্ভোগ এখনো যথেষ্ট রয়েছে। তাদের বন্যার ক্ষত চিহ্ন নিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে।

চলতি বন্যায় এ পর্যন্ত পানিতে ডুবে জেলায় শিশুসহ ৪ জনের মৃত্যু ঘটেছে। গত দুই সপ্তাহের বন্যায় শুধু ত্রাণের জন্য দেখা দেয় বানভাসীদের কষ্ট।কয়েকটি এলাকার প্রায় দুই শতাধিক ঘরবাড়ি বন্যায় ভেসে যায়। উঁচু বাধে ও আশ্রয়কেন্দ্রে বাস করা মানুষগুলো এখনো নিজ বাড়ি-ঘরে পানি থাকায় ফিরতে পারেনি। চর ও ও দ্বীপচরের নিম্নাঞ্চলের মানুষগুলো এখন পানিবন্দী জীবনযাপন করছেন। জেলার ৯ উপজেলার ৫০ ইউনিয়নের ২ লক্ষাধিক মানুষের অধিকাংশের দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি সংকট। অনেকেই ডায়রিয়া, আমাশয় ও হাতে-পায়ে ঘাসহ পানিবাহিত নানা রোগে ভুগছেন।

উলিপুর উপজেলার ব্রহ্মপূত্র নদবেষ্টিত হাতিয়া ও সাহেবের আলগা ইউনিয়নের দুর্গম কয়েকটি চর বাবুরচর, গুজিমারী, চরবাগুয়া, হকের চর, কাজীর চর, ফেচকার চরের অধিকাংশ পানিবন্দী মানুষ সরকারি বা বেসরকারিভাবে পর্যাপ্ত ত্রাণ পাননি বলে অভিযোগ করেছেন। কাজকর্ম না থাকায় অনেক কষ্ট করে সন্তানদের মুখে আহার তুলে দিচ্ছেন তারা। কিন্তু পছন্দের খাবার পাচ্ছে না শিশুরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক আব্দুর রশিদ জানান, চলতি বন্যায় ১৬ হাজার হেক্টর জমির ফসল ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ নিরুপন করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, কয়েকদিন ধরে পানি কমায় তিস্তা ও ধরলা নদীর বেশ কয়েকটি পয়েন্টে নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারন করেছে। ফলে রাজারহাটের ঘড়িয়াল ডাঙা ও সদরের হলোখানার সারডোব এলাকার শতাধিক পরিবার এখন নিঃস্ব হওয়ার পথে। বন্যায় গ্রামীণ জনপদের সড়ক ও চরের রাস্তাঘাট ভেঙে যাওয়ায় যাতায়াত করতে এখনো চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার অনেক নিচে নেমে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির ক্রমেই আরো উন্নতি হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, ত্রাণ পর্যাপ্ত দেয়া হয়েছে এবং পর্যায় ক্রমে দেয়া হচ্ছে। যাদের হাতে এখনও পৌঁছায়নি তাদের দেয়া হচ্ছে।

শেয়ার করুন .....




© 2018 allnewsagency.com      তত্ত্বাবধানে - মোহা: মনিকুল মশিহুর সজীব
Design & Developed BY ThemesBazar.Com